আধুনিক বিশ্ব যুগান্তকারী পরির্বতনের সাথে পার্সপোট ব্যবস্থায়ও
ডিজিটালাইজেশনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে আর এই ডিজিটাল
পাসর্পোট কে বলা হয়
ই-পাসর্পোট বা বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট,২০০৮ সাল থেকে
ই-পাসর্পোট যাত্রা শুরু হয় আর
সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে ১১৯তম
দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট হল কতগুলো কাগজের
সমষ্টি এবং একটি ইলেক্ট্রনিক
পাসপোর্ট যা কোনো ভ্রমনকারীর
পরিচয় বহন করে। এতে
যোগাযোগবিহীন স্মার্ট কার্ড,মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা
(চিপের পাওয়ার এবং যোগাযোগের জন্য)
থাকে যেগুলো পাসপোর্টের সামনে,পিছনে বা মাঝখানে সংযুক্ত
থাকে।
বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা
আছে, ই-পাসপোর্টে তা
থাকবে না। সেখানে থাকবে
পলিমারের তৈরি একটি স্মাট
কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে
থাকবে একটি মাইক্রোপ্রসেসর চিপ।
সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের
তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। আর সেখানে বায়োমেট্রিক
যে তথ্য গুলো রাখা
হয় সেগুলো হল,ছবি, আঙ্গুলের
ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে
সংরক্ষিত থাকবে ‘পাবলিক কি ডাইরেকটরি’তে
(পিকেডি)।
ই-পাসপোর্টের বাহক কোন দেশের
দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে
কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে
নেবে এবং আবেদন গ্রহণ
করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা
বাতিল করে সিল দেবে।
ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) /বা
ই-গেইট দিয়ে ‘পাবলিক
কি ডাইরেকটরি’তে (পিকেডি) মাধ্যমে
পাসপোর্ট চিপে থাকা তথ্য
যাচাই করা হয়। মূলত
ফেসিয়াল ডিডেক্টশনের মাধ্যমে ছবি,আংগুলির ছাপ
এসবের সত্যতা নিরূপণ করা হয়।তাই জালিয়াতি
করা কঠিন।
একজন গ্রাহকের আইডেন্টিটি ই-পাসপোর্ট মধ্যে
সমন্বিত হয়ে যে ই-আইডেন্টিটি ও ই-বর্ডার
সৃষ্টি করা হয়, সেখানে
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স(এআই) টেকনোলজী হিসেবে
পাইথন বা অন্য পোগ্রামিং
ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়।
ই-পাসপোর্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে
এর মাধ্যমে ই-গেট ব্যবহার
করে খুব দ্রæত
ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত
করতে পারবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে
ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে
হবে না। এর মাধ্যমেই
ইমিগ্রেশন দ্রæত হয়ে
যাবে। ই-গেটের নির্দিষ্ট
স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা
ছবি তুলে নেবে। থাকবে
ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে
তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। কোনো
গরমিল থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি। কারও
বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও জানা যাবে সঙ্গে
সঙ্গে।
0 $type={blogger}: